স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬ বার
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তিনটি হোম ম্যাচে গ্যালারিভর্তি দর্শক আর স্পন্সরদের ছড়াছড়িতে বাণিজ্যিক সাফল্যের সুবাতাস পেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আয়ের হিসাব প্রকাশ করা হলেও ব্যয়ের খাতা এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেছে। বুধবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে আয়ের অঙ্ক জানানো হলেও খরচের কোনো সদুত্তর মেলেনি।
সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এই অংক ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা এবং ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
তবে আয়ের উৎস নিয়ে মিডিয়া কমিটির বক্তব্যে শুরুতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথমে দাবি করা হয় এই আয় শুধুই টিকিট বিক্রির, তবে পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জানানো হয়—টিকিট, স্পন্সরশিপ ও অন্যান্য সব খাত মিলিয়েই এই আয়ের হিসাব করা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে ব্যয়ের হিসাব না পাওয়া নিয়ে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় ছয় মাস আগে, অথচ এখনো তার খরচের হিসাব চূড়ান্ত করতে পারেনি বাফুফে।
দেরির কারণ হিসেবে বাফুফে বলছে, নতুন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (CFO) দায়িত্ব নেওয়ায় এবং হিসাব প্রক্রিয়ার কাজ চলমান থাকায় সময় লাগছে। অথচ সভা সূত্রে জানা গেছে, ভারত ম্যাচের ব্যয়ের ভাউচার বা কাগজপত্র অর্থ কর্মকর্তার টেবিলে পৌঁছেছে মাত্র গত সপ্তাহে। নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে খেলা প্রীতি ম্যাচের আয়-ব্যয়ের তথ্যও এখনো অপ্রকাশিত।
এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফেকে যে আটটি স্টেডিয়াম বরাদ্দ দিয়েছে, তার মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে ফেডারেশন। এই ভেন্যুর সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ফিফার কাছে সহায়তা চাওয়া হবে। এছাড়া গাজীপুর স্টেডিয়াম রয়েছে বাফুফের দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায়।
অন্যদিকে, ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে একটি টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের কথা থাকলেও জমি হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জমি বুঝে না পেলে এই প্রকল্পের বরাদ্দ বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমন জরুরি বিষয় থাকলেও বাফুফের সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। ২২টি এজেন্ডা থাকলেও সময়ের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাফুফে সভাপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।