ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮ বার
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ‘শারীরিকভাবে সংকটাপন্ন’ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিভিআইপি হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘোষণার পরপরই সরকার তার সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশও দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানান উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভিভিআইপি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির পর রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মতো খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) মোতায়েন করা হয়। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এ বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নের পর একটি প্রশ্ন সবখানে ঘুরেছে, তা হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনিও কি এই বিশেষ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন? তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কি এই সুবিধার আওতায় আসবেন?
বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, রাষ্ট্র বা সরকার ঘোষিত ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ধারিত হবে, তা তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়ার কথা। আর তারেক রহমান যেহেতু দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তিনি এ সুবিধা পাবেন। তবে এ বিষয়ে সরকারের অনুমতির বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এসএসএফ সুবিধা নেওয়ার একটি প্রস্তাব শীর্ষ নেতারা সরকারকে দিতে পারেন।
কিন্তু তারেক রহমান এখনই দেশে ফিরছেন কি না, সেটি স্পষ্ট নয়। কেননা, তিনি নিজে বা দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কোনো সদস্য এখনও বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কোনো তথ্য দেননি। তারেক রহমান নিজেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তার আছে। কিন্তু এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজনৈতিক বাস্তবতার বর্তমান পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছানো মাত্র তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করবেন তার পরিবার এ ব্যাপারে আশাবাদী।
তারেক রহমানের এমন পোস্টের আগে পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকেও তার ফেরার বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যেমন মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।
এদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুও তারেক রহমান দ্রুত ফিরছেন বলে ইঙ্গিত দেন।
যদিও সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান কবে আসবেন সেটা তার নিজের ও তার পরিবারের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই তারেক রহমান ফিরবেন এমন তথ্য আমার জানা নেই।
এর আগে গত সোমবার রাতে দলের এক বৈঠকের পর বিএনপির মুখপাত্র ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে সরকার থেকেও কোনো বাধা আছে কি না, সেটিও বড় প্রশ্ন ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, এমন কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের নিজের সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেরার বিষয়ে জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো বাধা নেই। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও বলেন, দেশে ফেরার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের কোনো আইনি বাধা নেই, তার নিজের সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় একই কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনেই ওয়ানটাইম পাস (ট্রাভেল পাস) দেওয়া সম্ভব। তিনি চাইলেই এটি ইস্যু করা হবে। কিন্তু তিনি এ পাসের জন্য আবেদন করেননি, এমনকি তার ফেরার বিষয়ে সরকারকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্যও দেওয়া হয়নি।
তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে যখন ধোঁয়া গাঢ় হচ্ছে তখন বিএনপির বিভিন্ন নেতার বক্তব্য ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরকারের পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত বিষয়টিই এখন পর্যন্ত তার দেশে না ফেরার কারণ। কেননা ফেসবুকে তিনি যেভাবে পোস্টটি দিয়েছেন, তাতে করে এ বিষয়টিই বড় আকারে প্রতীয়মান হয়। অনেকে এও বলছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান।
আইনে যা বলা হয়েছে
বাংলাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন রাজনৈতিক নেতাদের জন্য সরাসরি উল্লেখ করে না, তবে এটি সরকারের বিবেচনাধীন। মূলত, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৬ (পরবর্তীতে ২০২১ সালের আইন দিয়ে সংশোধিত) এবং স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) মাধ্যমে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এই আইনগুলো অনুসারে:
এসএসএফের ভূমিকা হলো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা এবং সরকার কর্তৃক ভিভিআইপি (ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন) হিসেবে ঘোষিত যেকোনো ব্যক্তির জন্য শারীরিক নিরাপত্তা প্রদান করা। এতে রাজনৈতিক নেতা, বিদেশি অতিথিগণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এসএসএফ সিভিল প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে হুমকি প্রতিরোধ করে।
এসপিবিএনর ভূমিকা হলো বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে এই ইউনিট ভিআইপিদের (ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন) নিরাপত্তা দেয়, যার মধ্যে রাজনৈতিক নেতারা পড়তে পারেন। এটি ২০১৩ সাল থেকে সক্রিয় এবং প্রায় ৭০০ সদস্যের দুটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত।
সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তিকে ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে। এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গৃহ মন্ত্রণালয়। এই ব্যবস্থাগুলো স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর সঙ্গেসরাসরি সম্পর্কিত নয়, যা মূলত গ্রেপ্তার ও আটকের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য নয়। পরিবর্তে, এসএসএফ/এসপিবিএন’র মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও পাবলিক অর্ডার রক্ষার অংশ। ২০২৪ সালের অর্ডিন্যান্সে এসএসএফ আইন সংশোধন করে শেখ হাসিনার পরিবারের জন্য আজীবন নিরাপত্তা বাতিল করা হয়েছে, যাতে এটি আরও নিরপেক্ষ হয়।
বাংলাদেশে বিশেষ ব্যক্তিদের তিনটি শ্রেণি রয়েছে— ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি। এর মধ্যে ভিভিআইপি ও ভিআইপি নির্ধারণ করে রাষ্ট্র, আর সিআইপি নির্বাচন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দেশের প্রধান দুই ভিভিআইপি হলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) কাজ করে থাকে। এছাড়া রাষ্ট্র কাউকে ভিআইপি ঘোষণা করলেও তার নিরাপত্তা দেয় এসএসএফ।
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির পর তার নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা সক্রিয় হয়েছে। এখন যদি রাজনৈতিক দলগত অবস্থান ও নিরাপত্তার স্বার্থে তারেক রহমানকে ভিআইপি ঘোষণা করা হয়, তিনিও নির্ধারিত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানই দলকে নেতৃত্ব দেবেন এবং নির্বাচনে আগেই তিনি দেশে ফিরবেন। ফলে এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ নয়, তবে নেতারা মনে করেন নির্বাচন-নিরাপত্তা হুমকি বিবেচনায় তাকে ভিআইপি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক রহমান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পাসপোর্ট বহন করছেন কি না।
২০০৮ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান এবং এরপর থেকে দেশে ফেরেননি। ২০১২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন এবং এক বছরের মধ্যেই তা গৃহীত হয়। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন কি না, সেটিও বড় প্রশ্ন। এসব বিষয়ে বিএনপি বা সরকার কোনো কিছুই স্পষ্ট করেনি। তারেক রহমান যদি নাগরিকত্ব পরিবর্তন না করেন, তাহলে গত ১৬ বছরে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তিনি সেটি নবায়ন করেছেন কি না, সেটিও অজানা। এর মধ্যে দেশে ফিরতে তাকে ‘ট্রাভেল পাস’ দেওয়ার কথা বলছে সরকার। একজন ‘পাসপোর্টধারী’ নাগরিককে ট্রাভেল পাস কেন দেওয়া হবে, সে ব্যাপারেও আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয়ে কথা হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অনেক দেরিতে এসেছে। তিনি অনেক আগেই এই সুবিধার যোগ্য ছিলেন। কারণ বর্তমান সরকার তো রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন এবং কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীদের ত্যাগ-লড়াইয়ের ফল। সেই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মতো এত বড় ভিকটিম বা এত কষ্টসহিষ্ণু নেতা সাম্প্রতিককালের ইতিহাসে আর কেউ নেই। বিশেষ করে নারী নেত্রীদের মধ্যে বিশ্বজুড়েই এমন উদাহরণ বিরল। তাই তার চিকিৎসা, চলাফেরা এবং মুক্ত গতিশীলতার জন্য এই সুবিধা আরও আগেই দেওয়া উচিত ছিল। সরকার দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার চাইলে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে এটি করতে পারে। বিষয়টিকে শুধু পারিবারিক দৃষ্টিতে না দেখে, বিএনপির নেতা হিসেবে ‘বড় ভিকটিম’ তারেক রহমানের জন্যও সরকার ইচ্ছে করলেই একই ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে কোনো আইনগত বাধা আছে বলে আমার মনে হয় না।
এ বিষয়ে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট আইনজীবী নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, তারেক রহমান একটি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আছেন এবং বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল পরিচালনা করছেন। জুলাই আন্দোলনেও তার বড় ভূমিকা ছিল। ফলে তার জীবন যে হুমকির মুখে, এটা সাধারণ মানুষও জানে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তাকে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের জনগণ রাষ্ট্রকে কর দেয়, তাই প্রতিটি নাগরিকেরই নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তারেক রহমানও এই দেশের নাগরিক, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যিনি কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বিএনপির নেতৃত্ব দেন। সুতরাং রাষ্ট্র কোনোভাবেই তার বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার আমলে যে ব্যক্তি (শেখ হাসিনা) দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বে ছিলেন, তিনি তার পরিবার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে এসএসএফ প্রোটোকল পেয়েছিলেন। আমার জানা মতে, সেই আইন এখনো বহাল রয়েছে। এছাড়া সরকার চাইলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও এটি দিতে পারে। সে হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিশেষ নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য। এতে কোনো আইনি বাধা নেই।