আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭ বার
জাতিসংঘ আজ সোমবার সতর্ক করে বলেছে, জেনারেটিভ এআই ‘আধুনিক যুগের ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব’ হয়ে উঠতে পারে, যেখানে প্রথমে মানবাধিকার বেশি লঙ্ঘন হবে। কেননা, প্রভাবশালী প্রযুক্তি জায়ান্টরা বিশ্বে এ প্রযুক্তি উন্মুক্ত করছে।
জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, জেনারেটিভ এআই-এর ‘অসাধারণ প্রতিশ্রুতি’ রয়েছে। শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক লাভের জন্য এর ব্যবহার মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে, বিকৃত করতে পারে এবং বিভ্রান্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রভাবশালী প্রযুক্তি জায়ান্টরা জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালু করলে মানবাধিকার সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গোপনীয়তা, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বিষয়ক একাধিক কার্যক্রমের প্রতি হুমকি এখন স্পষ্ট।
তিনি আরো বলেন, যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ না থাকলে এআই সিস্টেম আধুনিক যুগের ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সতর্ক করেছেন, বর্তমান হুমকিগুলো মারাত্মক রূপ নিতে পারে, যা ক্রমবিকাশমান প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব রয়েছে— একত্রিত হয়ে এ পরিণতি প্রতিরোধ করা।
জেনারেটিভ এআই ছাড়াও তুর্ক কর্পোরেট ক্ষমতার ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ এবং অল্প কয়েকজন ব্যক্তির হাতে বিপুল ‘ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট সম্পদের সঞ্চয়’-এর হুমকির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এটি পুরো দেশের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যায়। যখন ক্ষমতা আইনের দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে না, তখন তা অপব্যবহার ও দমন-পীড়নে রূপ নিতে পারে।