ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮ বার
পলাতক বেঙ্গল মার্কেটিং কোম্পানীর মালিক হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহর সম্পত্তি ক্রোক ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ ঢাকা সিএমএম কোর্ট। সি.আর মামলা নং-৭৯২, বেঙ্গল মার্কেটিং কোম্পানীর মালিক হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থাকায় কোর্ট তার বিজয়নগরের কমার্সিয়াল ফ্ল্যাট, কাওরান বাজারের রেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর সম্পদ ক্রোক আদেশ জারি করে। ২০ নভেম্বর ২০২৫ ধার্য্যকৃত তারিখে আদালত তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আদেশ দেন। মামলাটি ডিএমপি’র পল্টন থানার অন্তর্ভুক্ত। আসামী হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহর পিতা শফিউল্লাহ শান্তিনগরে ব্যবসা করেন। পলাতক আসামী রাতের আঁধারে কাওরান বাজারে রেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এ মাঝে মাঝে অফিস করে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আত্মগোপনে থেকে আসামী সাইফুল্লাহ নানা প্রকার অপপ্রচার-অপকৌশল করছেন বলেও জানা যায়। অত্র মামলার বাদী পলাতক আসামী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, আমার অফিসের আশে পাশে প্রথমে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ঘুরাফেরা করে বিনা কারণে অফিসে প্রবেশ করে। সম্প্রতি কিছু অপরিচিত লোক তার ৭৮/এ, পুরানা পল্টন লেন, নীচ তলার অফিসের সামনে ঘুরাঘুরি ও ফলো করার মত দেখেছেন বলে জানান। হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহ বেঙ্গল গ্রুপের মালিক সাবেক এমপি মুর্শেদ আলমের শ্যালক। নিজ জেলা নোয়াখালী। গত আওয়ামী সরকারের সময় প্রচুর অর্থের মালিক হন তিনি। নোয়াখালী নিজ এলাকায় বহু সম্পদ। ঢাকায় শান্তিনগর, মধুবাজার, মগবাজার, উত্তরা, বসুন্ধরা, হাতিরঝিল, আফতাবনগরে বহুতল বিশিষ্ট বাড়ী, গুলশান, নিকেতন, বিজয়নগরে ফ্ল্যাট, রাজউকের উত্তরা মার্কেটে শতাধিক দোকান, কাওরান বাজারে এক বিঘা জমিতে ৬ তলা কমার্শিয়াল বিল্ডিংসহ বাড্ডা সাতারকুলে প্রায় ১৫ একরের মত জমি রয়েছে। এছাড়াও তিনি ব্যাংকের শত কোটি টাকা লুট ও কৌশলে ভূমি অধিগ্রহণের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঢাকা ডিসি অফিস থেকে। তার ভূমি অধিগ্রহণের এল এ কেস নং-৩ রেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর সহযোগি নামসর্বস্ব দেখা যার ফলে জেলা প্রশাসকরা দিতে আপত্তি করলেও গত সরকারের ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের তদবিরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তৎকালীন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাভেদ তার শ্বশুর আত্মীয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের চাপের মুখে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বেশি টাকা পেতে সক্ষম হয়। কারখানায় কোন মেশিনারীজ না থাকলেও পাকিস্তানী ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অন্যায় ভাবে মেশিন তার কারখানায় রেখে দিয়ে তার কারখানায় রেখে দিয়ে সেসব মেশিনের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে বহুগুণে বেশী মূল্য দেখায়। তার মাত্র কয়েকজন কর্মচারী ছিল কিন্তু তিনি চারশ’র মত কর্মচারী শ্রমিক আছ বলে দাবী করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করে। তার উত্থান ও বিদেশে অর্থ পাচার, বিদেশী ব্যবসায়ীদের মেশিনারীজ অর্থ জবর দখল, ট্যাক্স-ভ্যাট প্রদান না করে ভুয়া কারখানা রেভেন ফুড এন্ড বেভারেজ, কে কে ফুড, ওয়েস্টার্ন হেলথ এর ট্যাক্স, ভ্যাট প্রদান ছাড়াই হালনাগাদ ছাড়াই অধিগ্রহণেরর টাকা উত্তোলন, তার নামে স্ত্রী, পুত্রের নামে-বেনামে এত অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ায় প্রকৃত আয়ের উৎস ও আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেয়ার বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর। জানা যায় তার কোম্পানীর সাথে বসবাস করার জন্য সারাদেশে ডিলারদের নিকট থেকে বহু টাকা জামানত নিয়ে ফেরত না দিয়ে উল্টো মামলা-মোকদ্দমার ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। অনেকের সাথে ব্যক্তিগত বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থ নেয়। পরবর্তীতে তাদের সাথে অর্থ না দিয়ে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। ধূর্ত হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহ পলাতক, যে কোন মুহুর্তে বিদেশে স্বপরিবারে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ভুক্তভোগীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরো জোর চেষ্টা চালালে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা ও সম্পত্তি ক্রোক করা সহ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ পলাতক আসামী হাবিব মোঃ সাইফুল্লাহ কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাবে।