ঢাকা, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

কড়াইল বস্তির হাজারো মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪ বার


কড়াইল বস্তির হাজারো মানুষ

রাজধানীর মহাখালী-সংলগ্ন কড়াইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শুরু হওয়া আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে প্রায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলো শীতের রাতে খোলা আকাশের নিচে আহাজারি আর উৎকণ্ঠায় সময় কাটায়।

আগুন নেভার পর থেকেই শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। টিন, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি ঘরগুলো দ্রুত দগ্ধ হওয়ায় অনেকেই মূল্যবান জিনিসপত্র বের করার সুযোগ পাননি। যাদের ঘর পুড়েছে, তাদের অনেকেই এখন পথে বসেছেন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিনে কড়াইল বউ বাজার-সংলগ্ন বস্তিতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দিনমজুর হানিফা (৫০) জানান, আমাদের চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগার সময় সবাই কাজে ছিলাম। নারী ও শিশুরা কোনো রকমে জীবন বাঁচিয়ে বের হয়েছে। শীতের রাতে এখন আমরা সবাই ঘরছাড়া। 

ক্ষতিগ্রস্ত খাদিজা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক কষ্টে তিল তিল করে টিভি, ফ্রিজসহ সবকিছু কিনেছিলাম। আগুনে আমার ঘরের সব জিনিস পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। কিছুই বাঁচাতে পারিনি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বস্তির সরু রাস্তা, তীব্র যানজট এবং পানির সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রথম ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ৩৫ মিনিট সময় লাগে। ততক্ষণে ঘিঞ্জি এলাকায় দাহ্য বস্তুর কারণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। খাল থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করেও ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর না পাওয়া গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।


   আরও সংবাদ