ঢাকা, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অ্যামাজন–আলিবাবা পণ্য বিক্রি করতে রপ্তানিকারকরা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৮ বার


অ্যামাজন–আলিবাবা পণ্য বিক্রি করতে রপ্তানিকারকরা

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সকে সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বিটুবিটুসি) কাঠামোর অধীনে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলার অনুযায়ী, এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো এমন রপ্তানি লেনদেন প্রক্রিয়াজাত করতে পারবে, যেখানে বিদেশি কনসাইনি চূড়ান্ত ক্রেতা না হয়ে মধ্যবর্তী প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করবে। অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা, ইটসি কিংবা যেকোনো আন্তর্জাতিক সাবসিডিয়ারি বা তৃতীয় পক্ষের ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করা যাবে।

এ ধরনের রপ্তানি কার্যক্রমে রপ্তানিকারকদের সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম অথবা ওয়্যারহাউসে তাদের নিবন্ধনের প্রমাণ এডি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বিটুবিটুসি কাঠামোতে সাধারণত প্রচলিত বিক্রয় চুক্তি না থাকায় প্রফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতেই রপ্তানি পণ্যের ন্যায্যমূল্য ঘোষণা করা যাবে। পাশাপাশি, কনসাইনি যদি শুধু সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়, তবে তাদের নামে প্রস্তুত করা শিপিং ডকুমেন্টও ব্যাংক গ্রহণ করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রেও সহজীকরণ আনা হয়েছে। রপ্তানি থেকে অর্জিত অর্থ স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরের মাধ্যমেও গ্রহণযোগ্য হবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মভিত্তিক রপ্তানিতে বিভিন্ন চালানের অর্থ একত্রে আসতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাংকগুলো ‘ফার্স্ট-ইন, ফার্স্ট-আউট’ নীতিতে রপ্তানি আয় সমন্বয় করতে পারবে।


   আরও সংবাদ